ঈদের ছুটিতে রাজধানী অনেকটাই ফাঁকা। যারা আছেন তাদের অনেকের ব্যস্ত সময় কাটছে কেনাকাটায়। গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকছে দোকানপাট। তাই ফাঁকা বাসা-বাড়ি ও শপিংমলের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
এছাড়া ছিনতাই, চুরি, যৌন হয়রানিসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। স্থল, জল ও আকাশপথেও থাকছে টহল।
শেষ মুহূর্তে যারা রাজধানী ছাড়ছেন তারা যেন অতিরিক্ত ভাড়া বা হয়রানির শিকার না হন তা নিয়েও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ থাকবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, যারাই যাত্রীদের হয়রানি করবে বা অতিরিক্ত ভাড়া চাইবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে অজ্ঞানপার্টি ও মলমপার্টিকে ঠেকাতেও।
এছাড়া শপিংমলগুলোতে কোনও নারী যেন যৌন হয়রানির শিকার না হন সেদিকেও এবার বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে।
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো ডিএমপি থেকে সিসিটিভিতে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কারও অস্বাভাবিক চলাচল দেখলেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও জানায়, রাজধানীসহ এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ঢোকার প্রবেশপথে চেক পোস্ট বসানো হয়েছে।
ঈদকে কেন্দ্র করে ভার্চুয়াল জগতেও চলছে নজরদারি। অনলাইনে গুজব, উস্কানি বা মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর বিষয়ে সজাগ রয়েছে সাইবার মনিটরিং টিম।
নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বিভিন্ন ঈদগাহ ও মসজিদগুলোতেও।
ঈদের পর বিনোদন কেন্দ্র, পার্ক, চিড়িয়াখানা এবং শপিংমলগুলোতে ঘুরতে গিয়ে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন সেজন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঈদে এ ধরনের অভিযোগ গ্রহণে চালু হয়েছে হটলাইন (০১৭৭৭৭২০০২৯)।
ঈদের পর ফাঁকা ঢাকায় বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চলাচল ঠেকাতে বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন থাকবে চেকপোস্ট এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম।
ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে রাতের বেলায় রাজধানীজুড়ে আড়াই হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। এ সময় সিসিটিভিতে কারো অস্বাভাবিক চলাচল ধরা পড়লে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক ড্রোন মোতায়েন এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে হেলিকপ্টারও। রাজধানীসহ সারাদেশে র্যাবের মোট ১৫টি ব্যাটালিয়ন মোতায়েন থাকবে বলেও জানান তিনি।
সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন